ছবি সংগ্রহীত
ঔষধ ব্যবসার আড়ালে নিষিদ্ধ লোপেন্টা ট্যাবলেটের ব্যবসা





স্টাফ রিপোর্টার:
সাংবাদিক ও ডিবি পুলিশের ভয় দেখিয়ে ঔষধ ব্যবসায়ীর কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিলেন ওষুধ ব্যবসায়ী নেতারা।
বগুড়া শহরে ঔষধের পাইকারি বাজার খান মার্কেটের সারা ফার্মেসী ঔষধ ব্যবসার আড়ালে মাদকদ্রব্য বিক্রি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করে এক ঔষধ ব্যবসায়ীর কাছে থেকে বগুড়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) নেতারা।
অনুসন্ধানে ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুন বগুড়া শহরের খান মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ‘সারা ফার্মেসির মালিক মো: ইকবাল এর কাছে থেকে ৫৪০ পিস নিষিদ্ধ লোপেন্টা ট্যাবলেট পায় বিসিডিএস নেতারা। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫৪ হাজার টাকা। এরপরে নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনের নিকট মাদকদ্রব্য হস্তান্তর করার কথা তা না করে বগুড়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি টিপু বর্তমান বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য এবং (বিসিডিএস) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইনছান আলী (সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও বর্তমান যুবদল নেতা, খান মার্কেট বণিক সমিতির জহুরুল (জামায়াত নেতা ) ও রনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতা রবিন খানের ফুপাতো ভাই— এ চক্র সক্রিয় অংশগ্রহণ করে সারা ফার্মেসি মালিকের নিকট থেকে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার কথা বলে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। লোপেন্টা ট্যাবলেট আত্মসাৎ করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়।
এ বিষয়ে সারা ফার্মেসির মালিক মো: ইকবাল এর সাথে কথা বললে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এবং অর্থ লেনদেনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ প্রমাণ সামনে আসায় ব্যবসায়ী মহলে চরম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ করে অভিযুক্ত ইনছান আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল পরে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হয়েছে।
অভিজ্ঞ মহলের মতে এই অপকর্মে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত ও মাদকের বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।
এই ঘটনায় ঔষধ ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন দ্রুততম সময়ে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।